মিরু হাসান বাপ্পী আদমদিঘী(বগুড়া)প্রতিনিধি:
বগুড়ার সান্তাহার পৌর শহরের
বশিপুর বাইপাস এলাকায় সড়ক ও জনপথের কালর্ভটের মুখে বহুতল ভবনসহ
মার্কেট নির্মান করা হচ্ছে। এভবন নির্মানের জন্য পৌরসভার অনুমোদন
নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কাজ চলছে অবাধে। পৌরসভার
প-্যানিং নকশা অনুমোদন ছাড়াই কোন খুঁটির জোড়ে নির্মান কাজ
চলছে এমন প্রশ্ন উঠেছে ওই এলাকার জনমনে। এই ইমারত নির্মানের কারনে
বর্ষা মৌসুমে মাঠ দিয়ে পানি প্রবাহ পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে বলে
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানাগাছে।
জানাযায়, সান্তাহার-নওগাঁ বাইপাস আঞ্চলিক মহাসড়কের সান্তাহার
পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বশিপুর বাইপাস নামক এলাকার গ্যারেজ পট্টির
পশ্চিমে সওজের নির্মিত একটি কার্লভাট রয়েছে। ওই কার্লভাটের উত্তর পাশের
মুখের সামনে বাঁধ দিয়ে চাষাবাদ এবং দক্ষিনপাশের কালর্ভাটের মুখে জমির
মালিক মোসলিম উদ্দিন বহুতল ভবনসহ মার্কেট নির্মান করছেন। ফলে
কালর্ভাটের মুখ বরাবর মাঠ দিয়ে পানি প্রবাহের পথ ও স্বাভাবিক গতি বন্ধ
হয়ে যাচ্ছে। এতে করে বর্ষা মৌসুমে ওই কার্লভাট ও সড়কের উত্তর পাশে
জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হবে আবাদি জমি, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ওই
নির্মানাধীন ভবনের নীচ দিয়ে কার্লভাটের মুখ বরাবর মাঠ দিয়ে পানি
প্রবাহের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে কি-না সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জমির মালিক
মোসলিম উদ্দিন না সুচক জবাব দিয়ে বলেন, মার্কেটের পুর্ব পাশে আমি
চার ফুট জায়গা ফাঁকা রাখছি। ওই দিক দিয়ে পানি প্রবাহ হবে। কিন্তু
সরেজমিন দেখা যায় কার্লভাটের মুখ বরাবরের পরিবর্তে দিক পরিবর্তন করে
ড্রেন দিয়ে পানি প্রবাহের স্বাভাবিক গতি থাকবে না। এবিষয়ে পৌরসভার
প্রকৌশলী রেজাউল করিমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে,
তিনি বলেন, টেকনিক্যাল সমস্যার কারনে ওই ভবন নির্মান সংক্রান্ত প-ান
বা নকশা এখনো অনুমোদন করা হয়নি। তিনি বলেন, সড়কের দুই পাশের
জলাধারের সামনের স্ব স্ব জমির মালিকগণ ভরাট করার জন্য পানি প্রবাহ
সমস্যা আগে থেকে আছে। তিনি এবিষয়ে মেয়রের সাথে যোগাযোগ
করার পরামর্শ দেন। এবিষয়ে মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু’র মোবাইল
ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনকল রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য
পাওয়া যায়নি। সান্তাহার পৌরসভাকে বিষয়টি তদন্ত পৃর্বক ব্যবস্থা
নিতে অভিমত প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসি।