এস এম আদনান উদ্দিন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বাংলাদেশে বৃদ্ধির পর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-রক্ষায় গত বছরের মার্চ মাস থেকেই শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষামন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষনায় বন্ধ হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা।
করোনায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে জনসমাগম কমানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ অথচ ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করে পরীক্ষার্থীদের চরম ঝুঁকিতে ফেলছে সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ, এতে শঙ্কায় রয়েছে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার্থী এবং তার পরিবার।
এ সম্পর্কে ভর্তি পরীক্ষার্থীরা বলছে “করোনা সংক্রমণ দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়েছে, এসময় আমরা পরীক্ষা দিতে ভীতি পোষন করছি।
ভর্তি পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলছেন ” করোনার সংক্রমণ বর্তমানে কিশোর-কিশোরীদের মাঝে দেখা যাচ্ছে এখন যদি ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় আমাদের সন্তানদের করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই তাদের কথা চিন্তা করে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক এবং পরবর্তীতে নেওয়া হোক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ” উচ্চশিক্ষার ভর্তির জন্য লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় বসতে হবে। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছে, এসময় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যুক্তিসঙ্গত নয় কারন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসবে সাথে অভিভাবকরা আসবে ফলে জনসমাগম হবে এতে করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারির পরে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া স্বাস্থ্যবিভাগের স্ববিরোধী অবস্থান এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুকির আশঙ্কা রয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের পরিচালক ডা. আহসান হাবিব বলেছেন “পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয় নি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সঠিক নিয়মে অনুষ্ঠিত হবে ভর্তি পরীক্ষা।