পনির
শেরপুর সদর প্রতিনিধি :
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলী থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে তথাকথিত ও অবৈধ বলে দাবি করেছেন শেরপুর পৌরসভার ২ স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার এবং শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আরিফ রেজা।৩১ জানুয়ারি রবিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিক ও সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত গণমাধ্যমকে জানানো সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ও দাবি জানান তারা। তারা দাবি করে বলেন জেলা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে সরাসরি বহিষ্কারের এখতিয়ার কোন জেলা আওয়ামী লীগের নেই। কোন নেতা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে সে বিষয়ে দলের জেলা শাখার নির্বাহী পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য যদি একমত পোষণ করেন,তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেবল একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বরাবর পাঠানোর সুযোগ রয়েছে।কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটিয়ে সরাসরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও কেন্দ্রে তা টিকবে না। শেরপুরে অতীতে এরকম সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে নাকচ হওয়ার নজির রয়েছে। অন্যদিকে তারা অভিযোগ করে বলেন প্রথমত তাদের উভয়ের প্রার্থিতা বাতিলের ষড়যন্ত্র এবং পরবর্তীতে লোভ-লালসা দেখানোসহ পূর্ণ পূর্ণ চাপ প্রয়োগে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে ব্যর্থ ব্যর্থ হয়ে তারা বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্র খুলতে বাধাসহ স্থানীয় কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে।এজন্য তারা নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে নির্বাচন কমিশন সহ জেলা প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান। এছাড়া অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আঁধারের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে শনিবার রাতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানসহ একটি অংশের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ঢাকা সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যকে নিজেদের বাঁচাতে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার বলে দাবি করে বলেন,ওই অংশের একাধিক নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেই সাথে তিনি ওই বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন,দলের একটি মতলববাজ অংশ ওই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে বহিষ্কারের দাবি জানানোর পরপরই কোন সভা না করেই পরদিন সকালে কিভাবে সে দাবি কার্যকর হয় সেটাও বিস্ময়ের ব্যাপার। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা অনেকটা নতজানু স্বীকার করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।উল্লেখ্য শেরপুর পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার এবং শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আরিফ রেজা কে তাদের পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে গণমাধ্যমে।